আমি আমার বন্ধুর সাথে কথা বলতে গেলে মুখে কলম ছুড়ে মারে,তখন আমি মুচকি হেসে কলমে কেটে যাওয়া মুখের রক্ত মুছে ফেললাম। সবাই যখন ওকে বকা শুরু করলো। পরিস্থিতি অন্যরকম দেখে আমি বললাম, তোরা থাম। তারপর রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর রুমে আসলে সবাই বললো, ” তুই আজ একটা বোকার মত কাজ করছিস। ওকে শাসিয়ে দিলে হয়তো দ্বিতীয়বার ও এমন কাজের সাহস পাবেনা।”
আমি সবার কথা শুনছিলাম আর মুচকি হাসছিলাম। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শীতল হলে মুখ খুললাম, কেও যখন রেগে থাকে, তখন তাদেরকে “কেমন আছিস” বা “কি হয়েছে” বললে তারা আরো রেগে যায়। যেমন আজ হলো। তারপরে কুরআন ও হাদীসের আলোকে বন্ধুদের বুজানোর চেষ্টা করে বলি…..
কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন, وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۖ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
যদি শয়তানের পক্ষ থেকে আপনি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব করেন, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হোন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (হা-মিম সাজদা-৩৬)। রাগের মধ্যে শয়তানের ওয়াসওয়াসার দখল থাকে। প্রকৃতপক্ষে এ রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। তা বের করার জন্য আউজু বিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম পড়ো।
হাদীসে রাসূল সাল্লালাহু আলাইহিস সালাম বলেন, রাগ আসে শয়তানের পক্ষ থেকে, শয়তানকে তৈরি করা হয়েছে আগুন থেকে। আগুন নির্বাপিত হয় ঠাণ্ডা পানি দ্বারা। ঠাণ্ডা পানি পান করলে রাগের কারণে রক্তে যে উষ্ণতা সৃষ্টি হয় সেই উষ্ণ ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। এভাবে রাগ পড়ে যাবে। (আবু দাউদ)। রাগ উঠলেই সাথে সাথে অজু করে নিতে পারেন এতে রাগ কমে যাবে।
ওর স্থানে আমি থাকলেও হয়তোবা এমনটাই করতাম। তোরাও হয়তোবা এমন করতি । তবে যদি আজ আমি প্রতি উত্তর করতাম তবে এখানে ৩য় জন হত শয়তান এবং পরস্থিতি আরো ঘোলাটে করে ফেলতো। তোরা অবশ্যই নিজেকে রাগ বা ঝগড়া হতে বিরত রাখতে পারিস,যদি তোরা বিপরীত পাশের রাগান্বিত ব্যক্তির স্থানে নিজেকে দাঁড় করাস ৷
আমি যদি রাগ দেখাতাম,তবে হয়তো ও আরো রেগে যেতো। এক্ষেত্রে আমি মনে করি, না রেগে মুচকি হাসাটাই উত্তম সংশোধন হয়েছে ৷ পরবর্তীতে ও আর এমন করবেনা। তাই না বন্ধু?” আমি সহপাঠীর দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসলাম। সবাই দেখলো,বন্ধুটা হাসির উত্তরে হাসি দিয়েই এগিয়ে আসলো এবং আমার কপালে টোকা দিয়ে আমার পাশেই বসে পড়লো। রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন। আশা করি সফলতা দ্বারপ্রান্তে উঁকি দিবে।
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে শয়তানের প্রভাব থেকে হেফাজত করুন,আমিন ৷